ঢাকা , মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ , ২৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় ৬ আসামি রিমান্ডে

বাংলার জমিন ডেস্ক :
আপলোড সময় : ০৯-০৩-২০২৫ ০৫:২৬:৪২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ০৯-০৩-২০২৫ ০৫:২৬:৪২ অপরাহ্ন
স্বর্ণ ডাকাতির মামলায় ৬ আসামি রিমান্ডে ফাইল ছবি
রাজধানীর বনশ্রীতে ব্যবসায়ীকে গুলি করে স্বর্ণ ডাকাতির চাঞ্চল্যকর ঘটনায় গ্রেফতার ছয়জনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।  রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন মো.  কাউছার, মো.  ফরহাদ, মো.  খলিলুর রহমান, মো.  সুমন, দুলাল চৌধুরী ও আমিনুল।

 আজ রবিবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।  এসময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক ফরিদুর রহমান।  শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম তাদের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
 এর আগে গত শুক্রবার দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।  এ সময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া স্বর্ণের মধ্যে ৪ ভরি ৯ আনা স্বর্ণ, বিক্রিত স্বর্ণের মূল্য বাবদ ২ লাখ ৪৪ হাজার ৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।  এছাড়া ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত একটি ৭.৬২ এমএম রিভলভার, ৪ রাউন্ড গুলি ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

 মামলা সূত্রে জানা যায়, রামপুরার সি ব্লকের অ্যাভিনিউ রোড-৫-এর ‘অলংকার জুয়েলার্স’ দোকানের মালিক মো.  আনোয়ার হোসেন।  তিনি প্রতিদিনের ন্যায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি রাতে দোকান বন্ধ করে ১৬০ ভরি স্বর্ণ, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ২ কোটি ৪৭ লাখ ২৪ হাজার টাকা এবং নগদ এক লাখ টাকাসহ বাসায় ফিরছিলেন।  রাত পৌনে ১১টার দিকে বনশ্রী ডি ব্লক ৭ নম্বর রোডের ২০ নম্বর বাড়ির নিজ ভাড়া বাসার গেটের সামনে পৌঁছামাত্র তিনটি মোটরসাইকেলে করে ছয়-সাতজন দুষ্কৃতকারী আগ্নেয়াস্ত্র, চাপাতিসহ তার গতিরোধ করে।  তার কাছে থাকা স্বর্ণ ও টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার সময় আনোয়ার বাধা দিলে দুষ্কৃতকারীরা তাকে চার-পাঁচ রাউন্ড গুলি করে।  দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া গুলি আনোয়ারের বাঁ হাঁটু ও বাঁ পায়ে ঊরুতে আঘাত করে।  এ সময় দুষ্কৃতকারীরা তাদের হাতে থাকা চাপাতি দিয়ে আনোয়ারের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।  পরে তার সঙ্গে থাকা সাইড ব্যাগে রক্ষিত স্বর্ণ ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

 গুরুতর আহত আনোয়ারকে রামপুরার স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।  বর্তমানে আনোয়ার হোসেন শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে পুলিশ।

 এ ঘটনায় গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী আনোয়ারের স্ত্রী বাদী হয়ে রামপুরা থানায় একটি মামলা করেন।
 বিডি প্রতি

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Jamin

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ